নয়াদিল্লি: ‘এই সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে’, মণিপুর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করে এমনই মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
মঙ্গলবার মোদি সরকারকে বিঁধে সৌগতর প্রশ্ন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি রোভিং অ্যাম্বাস্যাডর না রোমিং সেলসম্যান? যখন মণিপুর জ্বলছিল তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাতটি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর সম্মানে বিশেষ ডিনারের আয়োজন করেছেন বলে নিজের পিঠে নিজে চাপড় মেরেছেন। আসলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। উনি বুঝতে পারছেন ২০২৪-র ভোটে আর জিততে পারবেন না।’
এরপরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হন সৌগত রায়। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বয়ানকে হাতিয়ার করে তাঁর তোপ- ‘এই সভার সদস্য এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন গোলি মারো…আর এক মন্ত্রী বলেছেন বিরোধীরা চুপ করে না থাকলে তাদের ঘরে ইডি-সিবিআই চলে যাবে। ওঁরা আসলে ভুলে গিয়েছে, আমরা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশের লোক- ‘আমি ভয় করব না ভাই করব না, দুবেলা মরার আগে মরব না’।
সৌগতের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকেই বারবার নিশানা করে। বিজেপির বিরাট ওয়াশিং মেশিন আছে। যে অজিত পাওয়ার এনসিপিতে ছিলেন তখন তাঁর মত খারাপ লোক আর কেউ ছিল না৷ তাঁর বিরুদ্ধে ৭০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই অজিত পাওয়ারই ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে বিজেপিতে এসেছেন। উনি এখন দারুণ লোক, অমিত শা প্রশংসা করেছেন ওঁর।’
মোদি সরকারের কার্যকালে কীভাবে বাংলাকে নিশানা করা হচ্ছে তার বিবরণ তুলে ধরে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘২০০টি আসন পাওয়ার কথা বললেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৮০টি আসনও পায়নি। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু হলেই বাংলায় কমিশনের প্রতিনিধি দল পাঠায় এরা, অথচ মণিপুুরে কোনও দল যায় না।’