মাটিগাড়া: ধর্ষণে বাধা পেয়েই মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুন করেছে অভিযুক্ত। এমনটাই জানাল পুলিশ। সোমবার রাত ২টা নাগাদ শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ আব্বাস (২২)। সে মাটিগাড়ার লেনিন কলোনির বাসিন্দা। রাতেই তাকে মাটিগাড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই কিশোরীর সহপাঠী ছিল না।
মঙ্গলবার সকালে মাটিগাড়া থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা। তিনি জানান, ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল আব্বাস। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় সে মেয়েটিকে খুন করেছে। এদিন অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটির পরনে ছিল স্কুলের পোশাক। ওই কিশোরীকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন একটি নেপালি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া ছিল মেয়েটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, সোমবার সাড়ে তিনটে নাগাদ এলাকারই এক পড়ুয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পায়। বাড়ি এসে বিষয়টি সে পরিবারের লোকেদের জানায়। এলাকার লোকজন মিলে সেখানে গিয়ে দেখতে পান, মাটিতে পড়ে রয়েছে কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় মাটিগাড়া থানায়। ঘটনাস্থলে আসেন এসিপি রাজেন ছেত্রী, ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা এবং মাটিগাড়া থানার পুলিশকর্মীরা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। গতকাল রাতেই অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।