রাজু সাহা, কামাখ্যাগুড়ি: দলের দুই স্থানীয় নেতার কোন্দলের ফল সামনে এল কামাখ্যাগুড়িতে। আগে থেকেই এলাকায় একটি দলীয় পার্টি অফিস ছিলই। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার পুরোনো পার্টি অফিস (Party Office) থেকে কয়েকশো কিমি দূরে আরেকটি পার্টি অফিসের দরজা খুলল অপর গোষ্ঠী।
কুমারগ্রাম ব্লকে মূলত দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে কোন্দল। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক তথা কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব নার্জিনারি এবং কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধীরেশ রায়ের সেই বিরোধ এখন বহুলচর্চিত। তার জেরেই এদিন কামাখ্যাগুড়ি-২ অঞ্চলে আরেকটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন হল বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও বিপ্লব এবং ধীরেশ, দুজনেই দ্বন্দ্বের (Conflict) কথা মানতে রাজি হননি। তাঁদের দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। আরেকটি পার্টি অফিস হলে সাংগঠনিক কাজে আরও সুবিধা হবে বলেই দুজনেই দাবি করেছেন।
কামাখ্যাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলের দিকে যাওয়ার পথে ডাকবাংলোর সামনে রয়েছে তৃণমূলের কামাখ্যাগুড়ি-২ অঞ্চলের একটি পার্টি অফিস। এদিন তার থেকে আধ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে কামাখ্যাগুড়ি পোস্ট অফিস পার হয়েই ডানদিকে আরেকটি দলীয় পার্টি অফিস উদ্বোধন করা হল।
এদিন ঘটা করে সেখানে কামাখ্যাগুড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, তৃণমূল মহিলার প্রাক্তন ব্লক সভানেত্রী তথা কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শুক্লা ঘোষ, জেলা সম্পাদক বিপ্লব নার্জিনারি সহ অন্য নেতৃত্ব। তবে এই অফিস উদ্বোধনে ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতি উপস্থিত ছিলেন না।
কোঅর্ডিনেশন কমিটির অফিস দখল করে তৃণমূলের পুরোনো পর্টি অফিসটি বানানো হয়েছিল বলে একটা অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিপ্লব বলেন, ‘অন্য দলের দখল করা পার্টি অফিসে আমাদের পার্টি অফিস চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আমরা চাইছিলাম নিজস্ব জায়গায় পার্টি অফিস করার। সেটাই আমরা করতে পেরেছি।’
এদিকে ধীরেশ বলেন, ‘আমার এক আত্মীয়ের আকস্মিক মৃত্যুর জন্য আমি এদিনের অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতেই দল করি। কোনও বিরোধ বা কোন্দলের ব্যাপার নেই। যারা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে দল করতে আসে তারাই এইসব বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে দলের ক্ষতি করে চলেছে।’
তাহলে এবার কি কোঅর্ডিনেশন কমিটির পার্টি অফিস তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে? ধীরেশের উত্তর, ‘জেলা কমিটি যা নির্দেশ দেবে, আমরা সেটা মেনে কাজ করব।’