উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বুরারিকাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাটের সুরাটে। বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের সাতজনের দেহ। মৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু। শনিবার সকালে সুরাটের পালানপুরের বাড়ি থেকে পরিবারের সাত সদস্যের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মৃতদের মধ্যে ছয়জনেরই বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে। বাকি এক সদস্যের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ জুলাই দিল্লির বুরারিতে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়। ফের একবার সেই স্মৃতিই উসকে দিল সুরাটের একটি ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মণীশ সোলাঙ্কি (৩৫), তাঁর স্ত্রী রিতা (৩২), তাঁর বাবা কান্তিলাল সোলাঙ্কি (৬৫), মা শোভনা (৬০) এবং তিন শিশু দিশা (৭), কাব্য (৫) ও কুশল (৩)। আসবাবপত্রের ব্যবসা ছিল মণীশের। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে মণীশ উল্লেখ করেছেন, পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েন চলছিল। তবে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মণীশ সোলাঙ্কি তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বিষ দিয়েছিলেন। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে যে সুইসাইড নোট মিলেছে তাতে বলা হয়েছে মণীশ কাউকে বিপুল পরিমাণ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত পাননি তিনি। আর তার জন্য আর্থিক টানাপোড়েনে জর্জরিত ছিলেন তাঁরা। সেকারণেই সম্ভবত পরিবার সমেত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন মণীশ।