উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে। আর এই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে। র্যাশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) বনগাঁর (Bangaon) প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে (Shankar Auddy) আদালতে হাজির করিয়ে এমনটাই দাবি করেছে ইডি (ED)। এমনকি, শংকর ছাড়াও তাঁর আটজন আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে, যেগুলি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
ইডি সূত্রে দাবি, শংকর এবং তাঁর আত্মীয়দের সূত্রে ছ’টি সংস্থার নাম উঠে এসেছে। এরমধ্যে শংকরের নামে একটি সংস্থা রয়েছে। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্নার নামও রয়েছে ওই সংস্থায়। শংকরের ছেলে শুভ এবং মেয়ে ঋতুপর্ণার নামেও একটি করে সংস্থা রয়েছে। এদিকে, শংকরের ভাই মলয়ের নামে ফরেক্স সংস্থা ছাড়াও রয়েছে একটি আইসক্রিম কারখানা। ওই সংস্থায় নাম রয়েছে মলয়ের স্ত্রী তানিয়ারও। শংকরের বাড়িতে অভিযানের সময় মলয়ের এই আইসক্রিম কারখানাতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। মলয়ের নামে যে ফরেক্স সংস্থাটি রয়েছে, সেখানে শংকরের মা শিবানী আঢ্যও রয়েছেন। রয়েছেন শংকরের শ্যালক অমিত। এছাড়াও মলয়ের স্ত্রীর নামে আরও একটি সংস্থার কথা জানা গিয়েছে।
ইডির দাবি, দুর্নীতির টাকা ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) কাছ থেকে শংকরের এই সমস্ত সংস্থায় আসত। পরে সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে ওই টাকা দুবাইয়ে (Dubai) পাঠানো হত। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারির পর শংকর তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগও করেছেন বলে দাবি ইডির। ওই চিঠি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে এসেছে। সেখানে একাধিক নাম রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদালতে শংকরের ৯০টি ফরেক্স সংস্থার কথা জানিয়েছে ইডি। যদিও শংকরের আইনজীবীর দাবি, শংকর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বৈধ ব্যবসা করেন।
গত শুক্রবার র্যাশন দুর্নীতি মামলায় বনগাঁয় শংকরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর শংকরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার শংকরকে ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হলে ১৪ দিনের ইডি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।