উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অভিমানী শান্তনু সেন।পদ হারিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় করলেন দীর্ঘ পোস্ট। পোস্টের আদ্যপ্রান্ত জুড়েই ঝরে পড়ল অভিমান। কার ওপর এতটা অভিমানী হলেন তিনি? সে বিষয়ে সরাসরি রাজ্যসভার সাংসদের পোস্টে কিছু উল্লেখ না থাকলেও ওয়াকিবহাল মহলের বুঝতে কোন অসুবিধে হয়নি তাঁর এই ইঙ্গিত শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের দিকে। ঘাস ফুল শিবিরের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় এই দুই নেতার মধ্যে রয়েছে ঠাণ্ডা লড়াই।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেনকে। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে। পদ হারিয়ে বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্টে রাজ্যসভার সাংসদ লেখেন, ‘জীবনে যদি বার বার চোখ নয়, শুধু কান দিয়ে দেখে, একতরফা ভাবে শুধু এক জনের কথা শুনে কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য। আমি যেন সব সময় মনে রাখি যে, সাথে চলার লোক অনেক থাকে, কিন্তু একান্ত বিশ্বস্ত, অনুগত, অসময়ের সাথী ও আমার জন্য বলিপ্রদত্ত সহযোগী বাস্তবিক অর্থে খুব কমই আছে। যিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন, তার কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য আছে কি না সেটাও যেন ভেবে দেখার ক্ষমতা আমার থাকে।’
যদিও এই ঘটনা প্রথম নয় আরজি কর হাসপাতালে। এর আগেও শান্তনুর বদলে সুদীপ্তকে এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার নিজের দায়িত্ব ফিরে পেয়েছিলেন শান্তনু। কিন্তু সম্প্রতি আবারও সেই দায়িত্ব হারাতেও হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি দিল্লি অভিযানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোদ্ধা হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের দামি ফোন হারিয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন। এবার হারাতে হল পদ। নিন্দুকেরা বলছেন, হারানোর তালিকায় কি প্রথম সারিতে নাম লেখাতে চাইছেন শান্তনু সেন?