ফাঁসিদেওয়া: প্রথম দফায় কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচন শুক্রবার। সেখানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফাঁসিদেওয়ায় রাজু বিস্টের সমর্থনে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘কোচবিহারে লড়াইটা বিজেপির সঙ্গে পুলিশের হচ্ছে। তৃণমূল বলে সেখানে কোনও বস্তু নেই৷’ শুভেন্দুর কথা, ‘এই সিদ্ধান্তের আগে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল কোচবিহারে এসপিকে সরিয়ে দেওয়া। সেইসঙ্গে দিনহাটা এবং শীতলকুচির আইসি’কে ক্লোজ করা।’
শুভেন্দু জানান, সমস্ত বুথে ওয়েবক্যাম থাকবে এবং সেটা দিল্লি থেকে মনিটরিং করা হবে৷ পাশাপাশি, ৬ জন করে সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে। ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেওয়া কিংবা ওয়েবক্যামের তার খুলে দেওয়া এই ব্যবসা তৃণমূল ও প্রশাসন করে আসছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। এবার এমন অভিযোগ বিরোধীরা আনলে, সেই বুথে রিপোল করা হবে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
অপরদিকে, রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘চড়কের দিন থেকে তৃণমূলের গুন্ডাকে আমাদানি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিয়ে পবিত্র দিনটিকে দাঙ্গা ডে বলছিলেন। গণ্ডগোলের জন্য তিনিই দায়ী। রেজিনগর, বেলডাঙ্গায় রাজ্য পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে এমন হত না।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিতেই প্রচুর মানুষের মাথা ফেটেছে। পুলিশের সামনে ১৫০ দোকান লুটপাট হয়েছে। বাড়ি-ঘর জ্বলেছে, পাথরবাজি চলেছে।’ অপরদিকে, এদিন সভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলে কটাক্ষ করেছন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘গোটা দেশের মধ্যে সব থেকে বড় গদ্দার তো মমতা।’