উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি পুর এলাকায় জল সংকট কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছে শিলিগুড়ি। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরবোর্ড। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই শিলিগুড়িতে ফের সংকটে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে শহরে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। শহরের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে এগিয়ে বিজেপি। শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে ৬৬ হাজার ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলেছে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ট। গত লোকসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোটে একমাত্র পুরনিগম এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া কোনও ওয়ার্ডেই লিড পাননি তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। এই ৬ নম্বর ওয়ার্ড মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। অথচ মেয়র গৌতম দেবের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, ডেপুটি মেয়রের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড সহ মেয়র পরিষদ কমল আগরওয়াল, রামভজন মাহাতো, শ্রাবণী দত্ত, মানিক দের মতো হেভিওয়েট নেতানেত্রীদের ওয়ার্ডে লিড পায়নি তৃণমূল। কেন এমন হল? দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের বক্তব্য, ‘এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে ২৬ সালের জন্য তৈরি হতে হবে। তবে দলগতভাবে আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। মানুষ কেন প্রত্যাখ্যান করলেন, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে তা ভবিষ্যতে শুধরে নিতে হবে।’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘সাংসদ রাজু বিস্ট তাঁর তৎপরতায় শিলিগুড়িতে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আমি তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে তিনি এক নজির স্থাপন করেছেন। পুরসভার অসহযোগিতা তাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মানুষ আমাদের যে ভাবে আশীর্বাদ করেছেন তাতে আগামীতেও আমরা এভাবে এগিয়ে যাব।’
তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অবাধ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কী হবে তা দেখিয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ির মানুষ। রাজ্য পুলিশ দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করে যারা পুরসভার শাসন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। তাঁরা যে শহর চালাতে ব্যর্থ তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।’
শিলিগুড়ির ফল নিয়ে শহরের মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘শুধু শিলিগুড়ি নয়, উত্তরবঙ্গের পুর এলাকাগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। আমরা এক কারণ বিশ্লেষণ করব। বরং গ্রামাঞ্চল ও চা বলয়ে ফল ভালো হয়েছে। চোপড়ায় আশাতীত ফল হয়েছে।’