শিলিগুড়ি: বর্ধমান রোডের দু’পাশে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বড় গাছ অনত্র প্রতিস্থাপনে জোর দেবে পুরনিগম। বুধবার রাস্তার কাজ পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। বুধবার সকালে মেয়রের সঙ্গে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পূর্ত দপ্তর ও রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন কম্পানির আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বড় গাছ কাটার বদলে তা অন্যত্র প্রতিস্থাপনে জোর দেওয়ার কথা বলেন মেয়র। কোন গাছগুলি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব তার একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
বর্ধমান রোড সম্প্রসারণের ফলে ৬৬টি গাছ কাটা পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবিষয়ে গৌতম দেব বলেন, ‘কিছু বড় গাছ তুলে নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। আর যে গাছগুলি খুবই বড়, প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়, সেগুলিকে বন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে কাটা হবে। যে গাছগুলি কাটা পরবে তার পরিবর্তে বর্ধমান রোডে নতুন করে আরও গাছ লাগানো হবে। যার পরিচর্যা পুরনিগমের তরফে করা হবে। মাস ছয়েক আগে শিলিগুড়ির ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বড় অশথ্ব গাছকে মেশিনের সাহায্যে তুলে সূর্যসেন পার্কের পাশে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সেই একই পদ্ধতি বর্ধমান রোডে অবলম্বন করা হবে। সূর্যসেন পার্কের পাশে গাছটি বর্তমানে ভাল রয়েছে।
সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভারের পাশে সার্ভিস রোড তৈরি হচ্ছে বর্ধমান রোডে। তবে রাস্তা সম্প্রসারণের ফলে ১৫০ দোকান ভাঙা পড়বে। এবিষয়ে মেয়র স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। মেয়রের কথায়, এখানকার ব্যবসায়ীরা খুবই সহযোগী। বাজারটি পেছনের দিকে সরানো হতে পারে। প্রয়োজন হলে দোতালা ঘর বানিয়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে। যার কিছুটা দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের নিতে হবে। এদিন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা জলপাইমোড়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপ্লব রায় মহুরি বলেন, ‘আমরা সকলে উন্নয়নের পক্ষে। তবে ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।‘
জানা গিয়েছে, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজটি শেষ করার জন্য ৮ মাস সময়সীমা ধরা হয়েছে। যান চলাচল মসৃন করতেই বর্ধমান রোডে রাজ্য সরকার প্রায় ৯০ কোটি টাকা খরচ করছে। ৭ কোটি টাকা খরচ করে স্টেশন ফিডার রোড সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। সেবক রোড সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বর্ধমান রোডের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তার সহ অন্যান্য তার মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও দ্রুত শুরু হবে।