ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির পূর্বাভাস। এ যাত্রায় জলসমস্যা থেকে কার্যত রক্ষে পেল শিলিগুড়ি পুরনিগম (Siliguri Municipal Corporation)। তিস্তার (Teesta) বাঁধ মেরামতির জন্য গত ১০ মে থেকে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরে জলসংকটের আশঙ্কা থাকলেও বাস্তবে এখন অবধি তেমন কোনও বড় সমস্যায় পড়তে হয়নি পুরনিগমকে। সেচ দপ্তর থেকে এক মাস সময় চাওয়া হলেও পুরনিগম ১৫ দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামতি শেষ করতে বলেছিল। এখন যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে তাতে আগামী ২৫ মে-র মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে পুরনিগম আশাবাদী। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ফের সেচ দপ্তরের কাজ পরিদর্শন করবেন মেয়র গৌতম দেব সহ মেয়র পরিষদের সদস্যরা।
পুরনিগম থেকে আশঙ্কা করা হয়েছিল, ১০ মে থেকে সেচ দপ্তর পুরোদমে কাজ শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই শহরে জলসংকট দেখা দিতে পারে। কারণ, বাঁধ মেরামতির জন্য তিস্তার জল বন্ধ থাকায় নদী শুকিয়ে গিয়েছে। তবে, জলসংকট মোকাবিলায় তিস্তা ক্যানালে সংগৃহীত জলের পাশাপাশি গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে (Rain) এখন পর্যাপ্ত জল রয়েছে। ফলে, আগামী আরও কয়েকদিন ভালোভাবে জল সরবরাহ সম্ভব বলে নিগম সূত্রে দাবি।
পুরনিগম সূত্রে খবর, জলসংকট মেটাতে পানীয় জলের ট্যাংক ও জলের পাউচ তৈরি রাখা হলেও তা শহরের সব ওয়ার্ডে পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। তবে সংযোজিত এলাকাগুলির যেসব ওয়ার্ডে আগে থেকেই জলের সমস্যা ছিল সেখানে ট্যাংক পাঠানো হয়েছে। জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদের সদস্য দুলাল দত্তর কথায়, ‘এখনও জলসংকট হয়নি। ২৫ মে-র মধ্যে সেচ দপ্তরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা এমনই আশ্বাস দিয়েছেন। এখনও যে জল আছে তা দিয়ে আগামী কয়েকদিন চলে যাবে।’
এই অবস্থায় বুধবার গজলডোবা ও ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজে সেচ দপ্তরের কাজ ঘুরে দেখবেন মেয়র। বিশেষত, ৬.৯ কোটি টাকার যে ইনটেক ওয়েলের কাজ চলছে সেটিও দেখবেন মেয়র। আগামী ৭ জুন ওই ইনটেক ওয়েল পুরনিগমকে হস্তান্তর করা হবে। ওই কাজ দেখার পর গজলডোবায় যাওয়া হবে। হাওয়ামহলে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন মেয়র।
মঙ্গলবার গৌতম দেব বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলেছিলাম। আমরা নিয়মিত কাজে নজরদারি চালিয়েছি। নিগমের ইঞ্জিনিয়াররাও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। রাস্তায় নেমে কাজের তদারকি ও নজরদারি করছি। আমরা এখনও মানুষকে দু’বেলাই জল দিতে পেরেছি।’ উল্লেখ্য, জল সরবরাহ নিয়ে এদিনও মেয়র পুরনিগমে বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।