কালিয়াগঞ্জ: ‘রাজ্যের কোথাও কোথাও স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিস্থিতি বেহাল’, লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানীর হয়ে প্রচারে এসে একথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন রাজ্য তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিষেবা কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)।
ভোটের আগে দলের মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় নজমূ নাট্য নিকেতনে মহিলা কর্মীসভায় যোগদেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবার এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন চন্দ্রিমা। তিনি বলেন, ‘কালা ধন দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। বলেছিল, ১৫ লক্ষ টাকা করে গরীব মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত ১৫ পয়সাও ঢোকেনি। দেশের বেকার যুবকদের বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি বিজেপি। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বিধ্বংসী ঝড় হয়ে গেল। নরেন্দ্র মোদি এসে কী দিয়ে গেলেন?’
কালিয়াগঞ্জে(Kaliaganj) ২৫০ বেডের হাসপাতাল ভবনের নির্মাণের কাজ চললেও, আজও কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিষেবা বেহাল। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরতেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাফাইয়ে বলেন, ‘কোথাও কোথাও যে অসুবিধা হচ্ছে না এটা তো আমরা কখনও বলি না। কিন্তু এটা আপনারা ভেবে দেখবেন চিকিৎসকের সংখ্যা কত? আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি তার আগে ১৩৫৫ জন করে চিকিৎসক একটা মেডিকেল কলেজ থেকে বের হত। তবে তৃণমূল রাজ্যে আসার পর ৫ হাজার করে চিকিৎসক বের হচ্ছে। একজন চিকিৎসককে স্পেশালাইজ করতে হলে তাঁকে ১৪ বছর সময় দিতে হয়। আমরা রাজ্যে আসার পর ১৪ বছর এখনও অতিবাহিত হয়নি।‘
তবে মহিলা কর্মীসভায় বক্তব্যে ছন্দপতন ঘটান উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভানেত্রী পুষ্পা মজুমদার। তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘জেলায় মহিলা সংগঠন যেন কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।‘ সে প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, ‘আমি মনে করি সংগঠন কখনও বিচ্ছিন্ন হয় না। আঁচলের সঙ্গে আঁচলের শক্তিশালী গিট তৈরি হলে, সেই গিটকে কেউ শিথিল করতে পারে না।‘