উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লাদাখকে পৃথক রাজ্যের সম্মান দিতে হবে। আর এই দাবিতেই আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। দীর্ঘ ২১ দিন ধরে খাবারের বদলে শুধু নুন-জল খাচ্ছিলেন তিনি। হিমাঙ্কের নীচে থাকা ঠান্ডায় তিনি রাত কাটাচ্ছিলেন খোলা আকাশের নীচে স্লিপিং ব্যাগে। অনশন চলাকালীন ওয়াংচুক দীর্ঘদিন খাবার না খাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার নিজের অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন সোনম। তবে একই সঙ্গে তিনি জানালেন, অনশন ভাঙলেও আন্দোলন জারি থাকবে।
সোনম ওয়াংচুক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। একজন শিক্ষাবিদ এবং সমাজকর্মী হিসেবে তাঁর নাম দেশের মানুষ জানতে পারেন মূলত ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায়। গত ৬ মার্চ থেকে চার দফা দাবিকে সামনে রেখে অনশন শুরু করেছিলেন ‘র্যাঞ্চো’। তিনি জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে। সোনমের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, লাদাখকে পৃথক রাজ্যের সম্মান, লে এবং কার্গিল জেলার জন্য আলাদা আলাদা লোকসভা আসন, লাদাখের জন্য আলাদা পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং তাতে চাকরি দেওয়ার আলাদা প্রক্রিয়া, খনি ব্যবসায়ী এবং শিল্পগোষ্ঠীগুলির হাত থেকে লাদাখের প্রকৃতিকে রক্ষা করা এবং সর্বোপরি বিধানের ষষ্ঠ তফসিল নিশ্চয়তার নিরাপত্তা বলবৎ করার দাবি। কেন্দ্রকে এক রকম চ্যালেঞ্জ ছুড়েই বলেছিলেন, ‘‘যে প্রতিশ্রুতি লাদাখের মানুষকে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, সেই প্রতিশ্রুতি সৎ ভাবে পালন করতে হবে।’’
তবে সরকার এড়িয়ে গেলেও সোনম ছাড়ার পাত্র নন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, লাদাখের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের স্বার্থে তাঁর লড়াই থামবে না। মঙ্গলবার সোনমের অনশন শেষ হওয়ার পর লাদাখের মহিলাদের একটি দল জানিয়েছে, সোনমের মতোই একই দাবি জানিয়ে তাঁদের অনশন শুরু হবে এর পর থেকে।