উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের (South India) ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমশই কমছে। ফলস্বরূপ শুকিয়ে আসছে জলাধারগুলিও (Reservoir)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জল কমিশনের (Central Water Commission) প্রকাশিত রিপোর্টে সামনে এসেছে, গোটা দক্ষিণ ভারতের জলাধারগুলির জলস্তর বর্তমানে ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে তীব্র জল সংকটের (Water crisis) পর সকলের টনক নড়লেও পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাডুতেও। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের ৪২টি জলাধারে বর্তমানে মোট ৫৩.৩৩৪ বিলিয়ন বর্গ মিটার (বিসিএম) জল থাকার কথা। কিন্তু এখন রয়েছে ৮.৮৬৫ বিসিএম। যা মোট ধারণ ক্ষমতার মাত্র ১৭ শতাংশ। গতবছর ছিল ২৯ শতাংশ। এই পরিমাণে জলাধারে জলস্তর কমতে থাকায় সেচ, পানীয় জল এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ওডিশার মতো রাজ্যগুলি নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলে মজুত জলের ভাণ্ডারে ইতিবাচক উন্নতি দেখানো হয়েছে। সেখানে ২৩টি জলাধারের মোট ধারণ ক্ষমতা হল ২০.৪৩০ বিসিএম। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ৭.৮৮৯ বিসিএম। যা ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩৯ শতাংশ। গতবছর যা ছিল ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ পশ্চিমাঞ্চলে জলাধারে জলস্তর আগের বছরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। একই অবস্থা উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেও।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং বিপজ্জনকভাবে কম এই তিন বিভাগে রিপোর্ট তৈরি করেছে। যার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, নর্মদা এবং তাপ্তি নদীর জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে ভালো বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরদিকে, কাবেরী এবং মহানদী ও পেন্নারের জলস্তর খুবই কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।