কোচবিহার: তুলে দেওয়া হচ্ছে ইজারা প্রথা। শিল্পতালুকের জমি বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। এবার থেকে শর্তসাপেক্ষে শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমি কিনে নিতে পারবেন শিল্পপতিরা। সম্প্রতি এই নির্দেশ ও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য শিল্প দপ্তর। ইতিমধ্যে লিজের জমির মালিকানা পেতে উত্তরবঙ্গের অন্তত ১৫ জন শিল্পপতি আবেদন করেছেন বলে শিল্প দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সরকারি জমি দিলেও তাতে একাধিক শর্ত রাখা হয়েছে। সিআইআইয়ের নর্থবেঙ্গল চেয়ারম্যান নরেন্দ্র গর্গ বলছেন, ‘খুবই ভালো খবর। জমির বাজারদর যা রয়েছে, সেটাই ঠিক রাখা উচিত। সরকারি দর কিছু স্থানে বেশি রয়েছে। সেটাও দেখা উচিত।’
শিল্প দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও একাধিক শিল্পতালুক রয়েছে। তার মধ্যে রানিনগর, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, চকচকা অন্যতম। রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম এবং রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের অধীনে শিল্পতালুকগুলো চলে। মূলত এতদিন শিল্প করার জন্য দপ্তর শিল্পপতিদের জমি লিজ দিত। কিন্তু এবার থেকে জমি কিনেও নিতে পারবেন শিল্পপতিরা। যে জমিগুলোতে শিল্পকারখানা রয়েছে, সেই লিজের জমিগুলো কিনে নেওয়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। তারজন্য সেখানে যে ভবন তৈরি হয়েছে সেটা সঠিক নিয়ম মেনে হয়েছে কি না তা দেখা হবে। যাঁর জমি লিজ থেকে মালিকানা হচ্ছে তাঁর কোনও মামলা রয়েছে কি না তা দেখা হবে। কোনও ব্যাংকে আর্থিক ঋণখেলাপি রয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে জমি কিনতে পারবেন ওই শিল্পপতি। তবে তিনি পরবর্তীতে ওই জমি বিক্রিও করতে পারবেন। তবে সেখানে শিল্পকারখানা ছাড়া অন্য কোনও কাজ করা যাবে না বলেই নির্দেশে জানানো হয়েছে। জমি বিক্রি ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে করতে হবে।
নর্থবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, ‘যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটা ভালো। অনেক সময় দেখা যায় লিজ শেষ হলে সরকার জমি নিতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। সেই সমস্যা আর থাকবে না। জমির মালিকানা হলেই সুবিধা হবে।’
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত পোদ্দার বলছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। দপ্তর থেকে আলোচনা করা উচিত। কোন শর্তে জমি দেবে। কত টাকা লাগবে। কাগজপত্র কী প্রয়োজন কিছু বলা হয়নি।’