বর্ধমান: মিড-ডে মিল খাওয়ার একটা ঘর নেই। বছরের পর বছর ধরে ফাঁকা মাঠে বসেই মিড-ডে মিল খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। চরম দুর্দশা পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৈচর ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দিরের। ছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়ার একটা ঘর যাতে স্কুলে হয়, তার জন্য ’দিদিকে বলো’ থেকে শুরু করে প্রশাসনের নানা মহলেও দরবার করেছিলেন শিক্ষিকারা। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয় নি। তাই ফাঁকা মাঠে বসে মিড-ডে খাওয়াটাকেই ভবিতব্য হিসাবে ধরে নিয়েছে ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দিরে পাঠরত ছাত্রীরা।
বর্ধিষ্ণু গ্রাম হিসাবেই পরিচিত মঙ্গলকোটের কৈচর। এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষজনের হাত ধরে ১৯৬৪ সালে কৈচর গ্রামে প্রতিষ্ঠা পায় ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দির। কৈচর ছাড়াও আশপাশের ক্ষীরগ্রাম, কানাইডাঙা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কন্যাদের লেখাপড়া শেখার একমাত্র অবলম্বন এই স্কুলটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই স্কুলটি নানা সমস্যায় জেরবার হতে থাকে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যা মিটেছে। কিন্তু স্কুলের ছাত্রীরা স্বাস্থবিধি মেনে মিড-ডে মিল খাওয়ার একটা ঘর আর কিছুতেই পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গার্গী সামন্ত জানান, তাঁরা ছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়ার একটা ঘরের জন্য প্রশাসনের নানা মহলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এমনকি ’দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরেও ফোন করে স্কুলের ছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়ার একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ রাখেন। একই দাবির কথা সামনে এনে স্কুলের এক শিক্ষিকা সমাজমাধ্যমেও সরব হন। কিন্তু এত কিছুর পরেও আজ অবধি কাজের কাজ কিছু হয় নি।
মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রাচীর ও দুটি ঘর আগেই করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীদের মিড-ডে মিল খাওয়ার ঘর যাতে তৈরি হয় তার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। আশা করছি সেটাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।