সোনাপুর: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগের দিন সকালে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের সোনাপুর বিকে হাই স্কুলের মাঠে একটি দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছিল ‘অতিথিরা’, আর এখন সেই দৃশ্য প্রতিদিনের রুটিনে চলে এসেছে ‘ঘরের লোকেদের।’ এখানে অতিথিরা বলতে ভোটকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ভোটকর্মীরা ওই স্কুলের মাঠে জমা হয়েছিলেন ওইদিন। স্কুলের মাঠেই তো তৈরি হয়েছিল আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ডিসিআরসি। সেখান থেকেই যে যার ভোটকেন্দ্রে রওনা দিয়েছিল। ওইদিন বৃষ্টির সকালে জল কাদায় হেঁটেই মাঠ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছিল ভোটকর্মীদের। এক দিকে বৃষ্টির জন্য মাঠে জল জমেছিল, অন্যদিকে মাঠে গাড়ির যাতায়াত বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়েছিল। ভোট শেষ, আর ডিসিআরসিও নেই। তবে ভোগান্তি রয়েই গিয়েছে।
এই ভোগান্তি আবার ওই স্কুলের ঘরের লোক অর্থাৎ স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষকদের। কয়েকদিন ধরে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে এতে রোজই স্কুলের মাঠে জল জমছে। আর সেই জল পেরিয়েই স্কুলে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। অথচ যে প্রশাসন মাঠের এই হাল করে গেল তারা মাঠের আর খোঁজ রাখছে না বলেই অভিযোগ উঠছে। সোনাপুর বিকে হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত ঠাকুরের কথায়, ‘মাঠে জল জমে থাকায় যে সমস্যা হচ্ছে সেটা পড়ুয়ারা জানিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবকও বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্ত হয়েছি।’ এবিষয়ে আলিপুরদুয়ার-১ বিডিও বলেন, ‘ওই স্কুলের বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।বিষয়টির কি করা যায় সেটা দেখছি।’
স্কুল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্কুলের মাঠে আগেও বৃষ্টিতে জল জমত তবে সেটা অল্পক্ষণের মধ্যেই নেমে যেত। তবে এখন সেটা হচ্ছে না। ডিসিআরসির যে জায়গায় জল জমেছিল সেখানে আরবিএম ও পাথর ফেলা হয়েছিল। আগে যেদিক দিয়ে জল বের হতো সেই জায়গা উঁচু হওয়ায় জল বের হচ্ছে না। আবার পাঠে পাথরের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জল আটকে থাকছে। অনেকক্ষণ পর জল কমে গেলেও মাঠের বেহাল ছবি বদলায়া না। এতে মাঠে পড়ুয়াদের বিভিন্ন খেলাতেও সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সোনাপুর বিকে হাই স্কুল সংলগ্ন যে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে সেই জায়গায় বেশি করে জল জমে থাকছে এবং ওই স্কুলের পড়ুয়াদের খেলাধুলোয় সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে সরাসরি প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ।