ময়নাগুড়ি ও গয়েরকাটা: মাঝরাতে আচমকা হাতির হানা (Elephant Attack)। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন একই পরিবারের ছয় সদস্য। হাতির ভয়ে পড়িমরি ছুটতে গিয়ে পুকুরে পড়ে আহত হলেন এক বৃদ্ধা। ময়নাগুড়ি ব্লকের বেতগাড়া গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, গয়েরকাটাতেও উপস্থিতির জেরে খাটের তলায় লুকিয়ে হাতির আক্রমণ থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছেন আরেক বৃদ্ধা। দুটি ঘটনাতেই বন দপ্তরের বিরুদ্ধে নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
বেতগাড়ায় রাতভর বাড়িঘর ভাঙলেও বুনোটিকে জঙ্গলে ফেরাতে এলাকায় দেখা মেলেনি বনকর্মীদের। ফলে ক্ষুব্ধ গোটা গ্রাম। বুধবার গভীর রাতে জলঢাকা নদী পেরিয়ে নাথুয়া রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে ওই দাঁতালটি লক্ষ্মী মন্দির এলাকায় চলে আসে। সেখানে পরপর দুটো বাড়িতে হানা দেয়। মানিক রায়, তুলেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় হাতিটি। তুলেন জানান, রাত দেড়টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে কিছু ভাঙার শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে। ঘরের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে দেয় দাঁতালটি। কোনওভাবে প্রাণে রক্ষা পান তুলেন ও তাঁর স্ত্রী৷ পাশের ঘরেই ঘুমোচ্ছিলেন তুলেনের দুই মেয়ে ধরিত্রী ও শান্তনা, ছেলে নকুল, মা তুলোবালা রায়। সকলকে ঘুম থেকে তুলে বাড়ির বাইরে আশ্রয় নেন তুলেনরা। ততক্ষণে ছোটাছুটি শুরু হয় গ্রামে। দৌড়াতে গিয়ে পুকুরে পড়ে আহত হন শান্তিবালা নামে এক বৃদ্ধা।
এদিকে, গয়েরকাটার প্রধানপাড়ায় গভীর নিদ্রায় ছিলেন বছর ৭৫-এর প্রমোদিনী রায়। হঠাৎ ঘরের বাঁশের বেড়া ভেঙে শুঁড় ঢুকিয়ে দেয় একটি দাঁতাল। টের পেয়ে উপস্থিতবুদ্ধিতে কোনও শব্দ না করে বিছানা থেকে নেমে মাটিতে গড়িয়ে খাটের নীচে ঢুকে পড়েন তিনি।