উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চাকরি বাতিল হওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বাঁকুড়ার এক শিক্ষক। সোমবার সেই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ির কাছের এক আমগাছ থেকে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, মৃত শিক্ষক ২০১৬ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। কলকাতা হাইকোর্টে চাকরি বাতিলের রায়ের পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল বাঁকুড়ার সিমলাপালের যুবক।
জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষকের নাম বীরেন্দ্রনাথ সরেন। তিনি সিমলাপাল ব্লকের ভূতশহর হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস সন্নিগ্রহী জানান, যে প্যানেল বাতিল হয়েছে তাতে তাঁর নাম ছিল না। কারণ তিনি কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক। তাপসবাবু বলেন, “কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের পর থেকেই আলাদা প্যানেল হচ্ছে। বীরেন্দ্রনাথ সরেন ২০১৬র প্যানেল হলেও তিনি শারীরশিক্ষার শিক্ষক। তাই যে প্যানেল বাতিল হয়েছে তাতে নাম ছিল না। ২২ তারিখ স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গেছে। ওইদিনই হাইকোর্টের রায় হয়। তাই এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারব না।”