উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ (Voice Sample Test) করা নিয়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত নাটকীয়তা। এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস’। এতে কণ্ঠস্বরের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করা হয়। কোনও ব্যক্তি কীভাবে কথা বলছেন, তাঁর গলার জোর কতটা, কথা বলার সময় কখন থামছেন সেসব সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়। এরপর অন্য কোনও জায়গা থাকে পাওয়া কণ্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে সেটি মিলিয়ে দেখা হয়। এর থেকে বোঝা যেতে পারে দুটি কণ্ঠস্বর এক কি না। সেই পরীক্ষাই করা হয় সুজয়কৃষ্ণের।
এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য প্রায় সাড়ে চার মাস পর এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে বের হন সুজয়কৃষ্ণ (Sujaykrishna Bhadra)। গত ২২ অগাস্ট এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। এর আগে একবার নমুনা নিতে গিয়ে এমএসভিপি-র বাধার মুখে পড়েছিল ইডি(ED)। অবশেষে বুধবার রাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট এর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ‘কাকু’কে। ভোররাতে আবার ফিরিয়েও আনা হয় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে।
গতকাল এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুলয়ান্সে। কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পরও হুইলচেয়ারে বসেই আবার অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠেন তিনি।