উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পথ আটকায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাটের সাংসদের অসুস্থতা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, পুলিশি হেনস্থাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই আবহে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, ডিজিপি রাজীব কুমার সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে দিল্লিতে তলব করে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সেই তলবে সোমবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) অবশ্য গতকাল বিকেলেই লোকসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন যে তিনি স্বাধিকার রক্ষা কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না।
বুধবারের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিকে চিঠি দিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। এরপরই সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই গত বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, ডিজিপি রাজীব কুমার ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনে হাজির হতে বলে স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। আজ এই বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অভিষেক মনু সিংভিও বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের। এরপর শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে সংসদীয় কমিটির এই তলবের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা এই মুহূর্তে দিল্লিতে হাজির হতে পারবেন না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছে। আর সেই কারণে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ রাজ্য প্রশাসনের পাঁচ আধিকারিকের দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চিঠিতে দিন পিছোনোর আর্জিও জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।