উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানিতে উঠে এল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। এদিন শুনানিতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের নাম তোলেন আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে। আদালতে তিনি দাবি করেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন হয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চে চাকরির প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটা একজন বিচারপতির সম্পূর্ণ অন্যায়। বিচারপতির নাম উঠতেই তুমুল বিরক্তি প্রকাশ করল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন এসএসসি মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, যা হয়েছে, তা অত্যন্ত ‘শকিং’। আর সেটা হয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কারণে। জনসমক্ষে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। এটা বিচারপতি সম্পূর্ণ অন্যায় করেছেন।’ আইনজীবীর এই মন্তব্য শোনার পরই
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন বিচারপতির নাম তুলে আনায় তুমুল উষ্মাপ্রকাশ করল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবীদের আচরণ নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি সাফ জানান, প্রাক্তন বিচারপতি বা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কোনও লাভ হবে না। আইনজীবীদের কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু আদালতে যখন তাঁরা আসেন, তখন নিজেদের আইনের প্রতি দায়বদ্ধ হয়েই আসেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা মিস্টার গঙ্গোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে এখানে আলোচনা করছি না। আমরা সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুনছি। দয়া করে কিছুটা শালীনতা দেখান। এখন কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। আমরা নোটিশ জারি করব। আর আগামী জুলাইয়ে মামলাটা রাখব। সুশৃঙ্খলভাবে শুনানি এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘যতই বিষয়টি সংবেদনশীল হোক না কেন, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোক না কেন, আমরা আইনজীবীরা বিষয়টির আইনি বিষয়ের দিকটা দেখি। হাইকোর্টের বিচারপতিদের অভিযোগ করলে কোনও লাভ হবে না। আমাদের সকলের আলাদা-আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা এখানে আইন নিয়ে আলোচনা করছি।’
গত ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই তদন্তের উপরও স্থগিতাদেশ দেয়নি।