উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল ২০২০ সালে। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-ইডির তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতির ইডি-সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য। তারপরই এই মামলার স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই পোস্টিং দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসে বিচারপতির কাছে। এদিন এজলাসে সেই কথা উল্লেখ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অন্তত আগামী এক সপ্তাহ তিনি এই মামলা শুনবেন না।
সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে শিক্ষাক্ষেত্রে পোস্টিং দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। জানা যায়, জেলায় শূন্যস্থান থাকা সত্ত্বেও আসনটি বিক্রি করার জন্য যোগ্য দের অন্ধকারে রেখে লুকিয়ে প্রকাশ করা হত বিজ্ঞপ্তি। অভিযোগ, বিষয়টিতে মাস্টার মাইন্ড ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২৫ জুলাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে বিচারপতি বলেন, এটা গুরুতর অভিযোগ। আগের দুর্নীতির সঙ্গে এই দুর্নীতি এক নয়। এই ঘটনার আলাদা তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বড়সড়ো দুর্নীতি হয়েছে। দালালের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য।’ হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ২৫ জুলাই রাতে ও ২৬ জুলাই সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বুধবার ইডিও এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।