হেমতাবাদ: বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে (Islampur) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee) যখন রামনবমী ইস্যুতে বিজেপিকে (BJP) তোপ দেগেছেন, তার কিছুক্ষণ পরই হেমতাবাদে মমতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘রামনবমী নিয়ে মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে যে ঘটনা ঘটেছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। কেউ পার পাবে না।’ এদিন রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে ‘শেখ শাহজাহান’-এর সঙ্গে তুলনা করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি জেলাবাসীর আবেগ উসকে প্রতিশ্রুতি দেন, এই ভোটে কার্তিক পাল জিতলে এইমস হবে রায়গঞ্জেই (Raiganj)। রাজ্য সরকারের কোনও অনুমোদন লাগবে না। এদিন শুভেন্দুর নিশানায় শুধু মমতা-কৃষ্ণ’ই নয়, ছিলেন জেলা শাসক, পুলিশ সুপারও।
এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘কালিয়াগঞ্জের ঘটনার এখনও বিচার মেলেনি। ১৬ তারিখ রায়গঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের নয় কিলোমিটার হাঁটানো হয়েছে। এসবের বদলা নেবই।’
শুভেন্দুর দাবি, ‘কার্তিক এবার জিতলে রায়গঞ্জেই এইমস হবে। রাজ্য সরকারের জায়গা লাগবে না। রেল, বিএসএফ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জায়গা থাকলে সেখানে আমরা এইমস করব। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁর বাড়ি থেকে দেড় কেজি সোনা, কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সে চারা কেলেঙ্কারিতে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছে। কোথায় কোথায় তার ধানের মিল, চালের মিল, তেলের মিল রয়েছে, কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাঁকেও জেলে যেতে হবে। কৃষ্ণ কল্যাণী আর শেখ শাহজাহানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা গাজোলে এসে রাজবংশী এবং মতুয়াদের অপমান করেছিলেন। এর বদলা উত্তর দিনাজপুরের মানুষকে নিতে হবে। তৃণমূলের জন্যই এই জেলায় শ্রমিকদের কাজ নেই। তাঁদের বাইরে যেতে হয়। এই জেলায় নারীরা সুরক্ষিত নন। মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। সিএএ মানুষের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না।’
এদিন শুভেন্দুর নিশানা থেকে বাদ যাননি পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারাও। তিনি বলেন, ‘তৎকালীন জেলা শাসক অরবিন্দকুমার মিনা আর করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের এনজিও গরিব মানুষের শৌচালয় তৈরির কয়েক কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। এর তদন্ত চলছে। আর রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতারতো সরাসরি কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে কাজ করছেন।’