উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এশিয়াডে পদক হাতছাড়া হতেই পদকজয়ী সতীর্থের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ করলেন স্বপ্না বর্মণ। স্বপ্নার অভিযোগ তাঁর সতীর্থ নন্দিনী আগাসারা রূপান্তরকামী। এশিয়াডে নিয়মভঙ্গ করেছে সে। তাই তাঁর পদকে কেড়ে নেওয়া হোক। স্বপ্নার এই এই অভিযোগে অস্বস্থিতে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নন্দিনী সত্যিই রূপান্তরিত কি না সে বিষয়ে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।
হেপ্টাথলনে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সোনা জিতলেও চিনের হ্যাংঝৌতে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলার অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মণকে। মাত্র ৪ পয়েন্টের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে স্বপ্না বর্মণের। হেপ্টাথলনের ফাইনালে একটা সময় পর্যন্ত নন্দিনীর আগে ছিলেন স্বপ্না। ষষ্ঠ রাউন্ডের পরে চতুর্থ স্থানে ছিলেন তিনি। নন্দিনী অনেকটা পিছিয়ে থেকেও শেষ ইভেন্টে স্বপ্নাকে টপকে যান নন্দিনী। শেষ পর্যন্ত ৫৭১২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন নন্দিনী। ৫৭০৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন স্বপ্না। পদক হাতছাড়া হতেই মাঠেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্বপ্না। ব্রোঞ্জজয়ী সতীর্থের বিরুদ্ধেই গুরুতর নিয়মভঙ্গের অভিযোগ করেন তিনি।
পদক হাতছাড়া হওয়ায় সমাজমাধ্যমে স্বপ্না লিখেছেন, ‘‘আমি এক জন রূপান্তরকামী মহিলার কাছে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক হেরেছি। অ্যাথলেটিক্সের নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই আমি আমার পদক চাই। দয়া করে আমাকে সবাই সমর্থন করুন।’’
স্বপ্না অভিযোগ করলেও নন্দিনী আদৌ রূপান্তরিত কি না সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। অতীতে নন্দিনীর বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। স্বপ্নার অভিযোগের পরে অস্বস্থিতে পড়ে যায় ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। যদিও স্বপ্নার অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি সংস্থার কর্তারা।
স্বপ্নার এই অভিযোগের পরে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন, কোনও প্রমাণ ছাড়া এক জনের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ করা যায় না। কেউ কেউ আবার বলেছেন, এক জন ভারতীয় হয়ে ভারতীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঠিক করেননি স্বপ্না। পদক তো দেশেই এসেছে। এই অভিযোগ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রীড়াকে কলুষিত করেছেন স্বপ্না বর্মণ।