মুর্শিদাবাদ: নিয়োগের মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে পদ খোয়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারপার্সন ললিতা দাস নন্দী। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ভোটাভুটি হয়। তারপর নতুন চেয়ারপার্সন করা হয় ইন্দ্রজিৎ ধরকে।
১৬ আসন বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ পুরসভায় সোমবার ১৫ জন কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে ভোটাভুটিতে ললিতা দাস নন্দীর জায়গায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার ইন্দ্রজিৎ ধরকে নতুন চেয়ারপার্সন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এদিনের ভোটাভুটির সময় ললিতাদেবী অনুপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের পুনর্নির্বাচনের পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠদের নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুরসভা দখল করে গত বছর ২২ মার্চ ললিতাদেবী চেয়ারপার্সন হিসেবে মুর্শিদাবাদ পুরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু ললিতা দাস নন্দীর কাজকর্মে খুশি না হয়ে তৃণমূলেরই কিছু কাউন্সিলার গত ১৪ জুন লালবাগ মহকুমা শাসকের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারপার্সন কোনও বৈঠক না ডাকায় গত ১১ জুলাই পুরসভায় বৈঠক হয়। সেই সভায় ললিতা দাস নন্দীকে চেয়ারপার্সনের পদ থেকে অপসারণ করে ভাইস চেয়ারপার্সন মেহেদী আলম মির্জাকে সাময়িকভাবে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অপসারিত চেয়ারপার্সন ললিত দাস নন্দী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করেছেন। কিন্তু তলবি সভা ডাকার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আমি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি। আগামী ২৫ জুলাই সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে যে পদ্ধতিতে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হল তার মাধ্যমে কাউন্সিলাররা কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করলেন।’
নয়া চেয়ারপার্সন ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ একটি ঐতিহাসিক শহর। এখানে যে দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন এবং কাজ হওয়ার কথা ছিল তা আগের চেয়ারপার্সনের আমলে হয়নি। এর পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়ে উনি আমাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করতেন না। তাই সমস্ত কাউন্সিলার একত্রিত হয়ে তাঁকে অপসারণ করে আমাকে নতুন চেয়ারপার্সন হিসেবে আজ নিযুক্ত করেছেন।’