উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) চত্বরে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল। এমনটাই বলা হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র (ASI) সমীক্ষার রিপোর্টে। এমনটাই দাবি করেছেন হিন্দু পক্ষের এক আইনজীবী। এক সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন দাবি করেন, এএসআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান কাঠামোর আগে ওই চত্বরে বড় হিন্দু মন্দিরের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। বর্তমান কাঠামোটি ওই আগের কাঠামোর উপরেই তৈরি। জৈনের কথায়, ‘এএসআইয়ের রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কিছু বদল আনা হয়েছিল কাঠামোয়। সামান্য বদল এনে একই পিলার ও প্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।’
জৈনের আরও দাবি, যে সব লিপি উদ্ধার হয়েছে, দেবনগরী, তেলুগু, কন্নড় ভাষায় লেখা সেই সব লিপি সাধারণ প্রাচীন হিন্দু মন্দিরেই দেখা যায়। এএসআই রিপোর্ট বলছে, বর্তমান ও প্রাচীন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি লিপি নজরে এসেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা চালানোর সময় এরকম ৩৪টি লিপির হদিস মিলেছে। প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে সেই সব লিপি খোদাই করা হয়েছিল। পরে সেই সব পাথর নতুন কাঠামো তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। সেই সব লিপিতে জনার্দন, রুদ্র এবং উমেশ্বর এই দেবতার নাম পাওয়া গিয়েছে।’
গত ১৮ ডিসেম্বর বারাণসী জেলা আদালতে মুখবন্ধ খামে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছিল এএসআই। তারপরেই হিন্দুত্ববাদী পক্ষের তরফে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলায় আদালত নির্দেশ দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট হিন্দু এবং মুসলিম পক্ষকে দেওয়া হবে। এর পরেই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে এই দাবি করলেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী।