উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও উত্তপ্ত ভাঙড়। মঙ্গলবার ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর এদিনও বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বুধবার লাঠি হাতে বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হন প্রচুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। তাঁদের নিশানায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর পিঠের চামড়া তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল কর্মীদের।
এদিন ভাঙড়ের মনোনয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই লাঠি হাতে অনেককে মুখ বাধা, বাঁশ নিয়ে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, নওশাদের লোকেরা গতকাল অশান্তি করেছে। আজ আর তাঁরা মনোনয়ন পেশ করতে পারবে না। আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ এলাকা। যদিও তৃণমূলের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে মনোনয়ন। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা নেই।
গতকালও মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। বিডিও অফিসের সামনেই একের পর এক বোমার গর্জন। চলেছে গুলিও। লাঠি, বাঁশ নিয়ে চলল বেধড়ক সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। গতকাল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, বিডিও অফিসের সামনেই ১৪৪ ধারাকে অমান্য করেই তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করেছিলেন। আইএসএফ কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসতেই তাঁদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই বিডিও অফিসের সামনে চলতে থাকে মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি। পাশাপাশি চলতে থাকে তৃণমূল বাহিনীর লাঠি, বাঁশ নিয়ে দাপাদাপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এতটাই বোমাবাজি হয়, বিডিও অফিসের সামনে কার্যত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এলাকায় ব্যাপক বাহিনী, তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। গতকালের পর এদিন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়।