দিনহাটাঃ সামনেই বাড়িতে পুজো। মায়ের আবদারে বাড়ি ফিরছিলেন দিনহাটা ১ ব্লকের দিনহাটা ভিলেজ ২ গ্রামপঞ্চায়েতের আমবাড়ি সংলগ্ন এলাকার যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি শিবা রায়। সওয়ার হয়েছিলেন ওডিশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেসে। শুক্রবার দুর্ঘটনার ঘন্টাখানেক আগে ফোনে মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে খোঁজ মেলেনি শিবার। একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে প্রবল চিন্তায় সংশ্লিষ্ট যুবকের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
শনিবার সকালে শিবার আমবাড়ি এলাকার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল থমথমে পরিবেশ। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেল, শিবা ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তার বাড়িতে বাবা, মা ও স্ত্রী রয়েছেন। বাবা শিবশঙ্কর রায় অরুণাচল প্রদেশে কাজ করেন। মাস খানেক আগেই তিরুপতিতে কাজের জন্য যান শিবা। ক’দিন পরেই বাড়িতে পুজো। এমন পরিস্থিতিতে মা চাইছিলেন ছেলে ফিরুক। তাই ছেলের কাছে আবদার করেন তিনি। এদিন সকালে শিবার মা লক্ষ্মী রায় জানালেন, বাড়িতে পুজো আছে। ছেলেকে বলেছিলাম আসতে। ছেলে বলেছিল বাড়ি ফেরার মতন পর্যাপ্ত টাকা নেই। এখান থেকে টাকা পাঠিয়েছিলাম। ছেলে বেঙ্গালুরু-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিল। শুক্রবার বিকেল ৫টার পর আর কথা হয়নি শিবার সঙ্গে পরিবারের। সম্পর্কে শিবার মাসি পার্বতী রায় জানালেন, থানা ও বিডিও দপ্তরের লোকেরা যোগাযোগ করেছিলেন। প্রশাসনের তৎপরতায় শিবার খোঁজে জেঠু ভরত রায় ইতিমধ্যেই ওডিশায় রওনা হয়েছেন। তবে শিবার কোন খবর পাওয়া যায়নি। দুশ্চিন্তায় কাটছে।
এবিষয়ে দিনহাটা ভিলেজ ২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কেশব নাহা জানান, গতকাল রাতেই প্রশাসনের তরফে দিনহাটা ১ ব্লকের বিডি মদনমোহন মুর্মু এই এলাকার আহত দুই যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ওডিশার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।