উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকটা শব্দে মাকে ছোট্ট মেসেজ করে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর। মঙ্গলবার ভোরে ৩৫ তলা অ্যাপার্টমেন্টের তলায় দেহ মিলল তার। হায়দরাবাদে রায়দুর্গম এলাকার একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টের ঘটনা। স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত রেয়াংশ রেড্ডি নামে ওই কিশোর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পড়াশোনার চাপ থেকেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
জানা গেছে গতকাল সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ মা স্বরূপা রেড্ডিকে মেসেজ করে ছেলে জানায় যে সে ব্যক্তিগত কারণে তার জীবন শেষ করে দিতে চলেছে। এই মেসেজ পাওয়ার পরই পাগলের মত ছেলের খোঁজ করতে থাকে তার পরিবার। কোথাও না পেয়ে রাত ৩টে নাগাদ রায়দুর্গম পুলিশ স্টেশনে ডায়েরি করেন মা। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাইরে যাওয়ার কোনও প্রমাণ পায়নি। এরপরই তার দেহ উদ্ধার হয় অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় গেটের কাছে। ৩৫ তলা থেকে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে সন্ধ্যে নাগাদ ওই কিশোরকে লিফটে করে উপরের দিকে উঠতে দেখা গেছে। এরপর আর তার কোনও ছবি দেখা যায়নি। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, একটি রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে সবটা দেখা হচ্ছে। ওই কিশোরের স্কুল কর্তৃপক্ষ, বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই কিশোরের বাবা সুরেশ কুমার রেড্ডি একটি ফিনান্স কোম্পানিতে অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন। তদন্তের সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর অনলাইন গেমের পেছনেও প্রচুর সময় কাটাত। ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে চাপ তৈরি হয়। যা সামলাতে না পেরেই সে আত্মহত্যার চরম পথ বেছে নেয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অনলাই গেমে আসক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। সম্ভবত পড়াশোনা জনিত চাপই এই ঘটনার কারণ।