আসানসোলঃ গুলিবিদ্ধ আসানসোলের এক ব্যবসায়ীর ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা। সোমবার রাতে আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। গুলি লাগে নাবালিকার মাথায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ কিশোরীর চিকিৎসা চলছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কিশোরীর বাড়ি আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে। কিশোরীর বাবা সুব্রত মাঝি ওরফে বাচ্চু আসানসোলের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনও অজ্ঞাতকারণে ঘটনার কথা স্বীকার করেনি আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। তবে হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ প্রবীর মুখোপাধ্যায় নাবালিকার গুলিবিদ্ধ হয়ে ভর্তি থাকার কথা জানালে, পুলিশ কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই তদন্তের কাজ শুরু করেছে আসানসোলের উত্তর থানার পুলিশ।
এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, সোমবার রাত দশটা নাগাদ আসানসোলের এক কিশোরীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। পরিবারের তরফে বলা হয়, মাথায় গুলি লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করি। মাথার এক্সরে করানো হয়। তারপর জানা যায়, একটা গুলি মাথার বাঁদিক দিয়ে ঢুকে, ডানদিক থেকে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু খুব কাছ থেকে বা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চলে যাওয়ার মাথায় ভেতরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার মাথায় একটা ছোট অস্ত্রপচার করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা যথেষ্টই আশঙ্কাজনক। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ঐ নাবালিকা তার বাবার লাইসেন্সড রিভলবার দিয়ে মাথায় গুলি চালায়। তবে পরিবারের তরফে এই ঘটনা নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি। আত্মহত্যার চেষ্টা নাকি দুর্ঘটনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।