উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দেশের ছয় রাজ্যের সাতটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাতটি বিধানসভায় আগেরবার বিজেপি জিতেছিল তিনটি আসনে, বাকি চারটিতে বিরোধীরা। বিজেপিকে রুখতে জাতীয়স্তরে এবার হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই জোটশক্তি এই উপনির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দেশের ৬টি রাজ্যের ৭টি বিধানসভায় হচ্ছে উপনির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, উত্তরাখণ্ডে মূলত লড়াই হচ্ছে জোটের শরিক দলের মধ্যেই। ঝাড়খণ্ডের একটি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইন্ডিয়া জোটের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সেখানে কংগ্রেস, আরজেডি সমর্থন করছে জেএমএম প্রার্থীকে। ত্রিপুরার দুটি আসনের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী ইন্ডিয়া জোটের থেকেই প্রার্থী হবে কী না তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, সেখানে এখনও বাম কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা দানা বাঁধেনি।
এদিকে, একই সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি কেন্দ্রেও। এই আসননি আগের বার ছিল বিজেপির দখলে। সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থীর অকাল প্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে লড়াইয়ে আছে ইন্ডিয়া জোটের শরিক তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেসের প্রার্থীরাও। তৃণমূল প্রার্থী করেছে নির্মলচন্দ্র রায়কে। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রতীকে লড়ছেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী লোকসঙ্গীত গায়ক ঈশ্বরচন্দ্র রায়। বিজেপির হয়ে লড়ছেন কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলায় নিহত জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায়। ত্রিমুখী লড়াইয়ে হার-জিতের ফল কী হবে বলা মুশকিল।
এবারের উপনির্বাচনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই হচ্ছে উত্তর প্রদেশের ঘোসি আসনে। সেখানে বিজেপির প্রার্থী দারা সিং চৌহান দেড় বছর আগে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতেছিলেন। কিন্তু এসপি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবেব সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি দল ছাড়েন। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। যোগ দেন বিজেপিতে। তিনিই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী। সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী করেছে সুধাকর সিংহকে। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। তারা সমর্থন করছে সমাজবাদী পার্টিকে। ইন্ডিয়া জোটে না থাকলেও প্রার্থী দেয়নি মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিও। ফলে ওই আসনে বিজেপির সঙ্গে জোর লড়াই হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের।
কেরলের পুথুপল্লি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের দুই অন্যতম শরিক কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে। কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ওমেন চান্ডি ওই আসন থেকে ৫০ বছর সেখানকার বিধায়ক ছিলেন। কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী করেছে ওমেন চান্ডির ছেলেকে। সিপিএমের প্রার্থী দলের এক যুব নেতা। তৃতীয় প্রার্থী বিজেপির। তবে বাম-কংগ্রেসের লড়াইয়ের জেরে সেখানে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা কম।
বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের দুই দল লড়াইয়ে শামিল হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম দুই শরিক কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির লড়াইয়ে বিজেপির জয়ের রাস্তা সহজ হয়ে গিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।