উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। এরপরই শুরু হয়ে যাবে মহোৎসবের পালা। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে (Ram Mandir Inauguration)। সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন। জানা গিয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে অন্তত ৮০০০ অতিথির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অযোধ্যায়। অনেকেই ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সারাদিন একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যার বাল্মীকি বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অযোধ্যার হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ১০টা ৫৫ মিনিটে রামমন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১২টার পরে শুরু হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ। ১২টা ৫৫ মিনিটে সব আচার-অনুষ্ঠান শেষ করে বেরোবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ১টার মধ্যে সভা শুরু হবে মোদির। ২ টো পর্যন্ত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন মোদি। কথা রয়েছে, এরপর অযোধ্যার অন্যতম দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার মন্দিরের উদ্বোধন হলেও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলবে মঙ্গলবার থেকে। সোমবার একমাত্র আমন্ত্রিতরাই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে মঙ্গলবার থেকে দিনে দু’বার মন্দিরের দরজা খুলবে। সকাল ৭ টা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। আবার দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। সারা দিনে ৩ বার আরতি হবে রামলালার। ভোর ৬ টা দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা আরতি হবে ৭ টা নাগাদ। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করার পর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।