উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্ষণের অভিযোগ এনে নিজের বাবাকেই জেলে খাটিয়েছেন খোদ কন্যা। দীর্ঘ ১ বছর জেল খাটার পর অবশেষে সেই ব্যক্তিকে মুক্তি দিল আদালত। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হরিদ্বারে। ঘটনার সত্যতা জেনে হতবাক বিচারপতি। তড়িঘড়ি জেলবন্দি বাবাকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্ত্রী ও কন্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যে মামলায় টান ১ বছর জেল খাটলেন ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে ওই ব্যক্তির স্ত্রী হরিদ্বারের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, বিশেষ কারণে তিনি বাড়িতে না থাকার সুবাদে তাঁর ১৫ বছরের কন্যাকে তাঁর স্বামী একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন। এই ঘটনার সত্যতা দাবি করে পুলিশের কাছে বয়ান দেয় নাবালিকা। মেয়েটি জানায়, বাবা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রেখেছিলেন।
এই ঘটনায় পকসো আইনে মামলা হয় হরিদ্বার থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২২ সাল থেকে তিনি জেলে ছিলেন। কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণ বা শারীরিক নিগ্রহের কোনও চিহ্ন মেলেনি। এমনকি শুনানি চলাকালীন দম্পতির কনিষ্ঠা কন্যা আদালতে মা এবং দিদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। পরে তদন্তে উঠের আসে, সম্পত্তি নিয়ে দম্পতির মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। সম্পত্তি হাতাতেই স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা সাজিয়েছিলেন স্ত্রী। এর পরেই আদালত অভিযুক্তের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।