উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডেকেছেন বিশেষ অধিবেশন। এই ‘বিশেষ অধিবেশনে’ কি বিষয়ে হতে পারে আলোচনা, তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। যদিও বিরোধী শিবিরে ঘুরছে একাধিক জল্পনা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলচিত ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি।শনিবার বিরোধীদের যাবতীয় জল্পনা জিয়িয়ে রেখে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল, ‘এক দেশ,এক ভোট’ নিয়ে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।
‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জল্পনার মাঝেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আট সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা, রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য গুলাম নবি আজাদ, অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, আইনজীবী হরিশ সালভে ও সঞ্জয় কোঠারী। অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই কমিটির সদস্য পদ গ্রহণ করার জন্য।কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
কমিটিকে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিয়েছে, দেশে লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন একইসঙ্গে করা যায় কিনা। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এই কমিটির প্রথম বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। প্যানেলের সেক্রেটারি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন লিগাল অ্য়াফেয়ারস সেক্রেটারি নীতেন চন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্বাচনের এই নীতি দেশে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সংবিধানের সংশোধনী এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও অন্যান্য আইনগুলিতে কি কি পরিবর্তন করা দরকার তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।পাশাপাশি রাজ্যগুলির জন্য কি কোনও নিয়ম সংশোধন করা প্রয়োজন তারও প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। একই সময়ে নির্বাচন করতে হলে অনাস্থা প্রস্তাব, সংসদ মুলতুবি এবং অন্যান্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।