উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট আরও ৬ দিন পিছিয়ে ১৪ জুলাই করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সোমবার পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নের সময়সীমা ১৫ জুন থেকে বাড়িয়ে ১৬ জুন করা যেতে পারে। তাঁর চেয়ে বাড়ানো সম্ভব নয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনকে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা ২টি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তির নানা অংশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে মামলায়। মনোনয়ন পেশের দিন থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অংশ হাই কোর্টে তুলে ধরেছেন মামলাকারীরা। উচ্চ আদালত কিছু বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। সেখানেই নিজেদের মতামত পোষণ করে কমিশন।
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি শুক্রবারের শুনানিতে হাইকোর্ট কমিশনকে বলেছিল, মনোনয়ন পর্বের সময়সীমা বাড়ানো যায় কিনা তা ভেবে দেখা হোক। সোমবারের শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নের সময়সীমা একদিন বাড়ানো যেতে পারে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মনোনয়ন পত্র জমা করার জন্য ৭ দিন দেওয়া হয়েছিল। এবার যে প্রথম হচ্ছে তা নয়।
এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট দিয়েছে তাও সন্তোষজনক নয়। ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়া হোক। ২৬ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন করা হোক। আর ভোট হোক ১৪ জুলাই। কারণ মনোনয়নের দিন বাড়ালে ভোটের দিনও পিছোতে হবে।
এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বলেছে, কোনওভাবেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় না। আইনত কমিশনের হাত পা বাঁধা রয়েছে। তবে কমিশন সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর। আইনজ্ঞদের মতে, ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনেরই রয়েছে। হাইকোর্ট প্রস্তাব দিতে পারে নির্বাচন কমিশনকে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কী রায় দেয় হাইকোর্ট।