উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতীয় নৌসেনার ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে কাতারের এক আদালত। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের কাতার থেকে ভারতে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। যদিও এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি বিদেশ মন্ত্রকের কোনও আধিকারিকই। এর জেরে এই ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনার মৃত্যুদণ্ডের খবরটি কাতারের কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভারতীয় প্রাক্তন নৌসেনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে কাতারের একটি আদালত। কাতারের আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি এখনও ভারতের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যেভাবেই হোক এই ৮ ভারতীয়কে দেশে ফেরানোর বিষয়ে সরব হয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুসারে, ভারতের কোনও নাগরিক যদি কাতারে গ্রেপ্তার হয় বা কাতারের নাগরিক ভারতে গ্রেপ্তার হয়, তাহলে নিজেদের দেশে সেই ধৃতকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সাজার বাকি কাল নিজের দেশের জেলেই কাটাবে সেই অপরাধী। এই চুক্তি অনুযায়ী ৮ ভারতীয়কে ফেরানো না গেলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছে ভারত।
উল্লেখ্য, কাতারে ডাহারা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস নামের এক প্রাইভেট সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। ওই প্রাইভেট ফার্মে কাতারের সেনা সম্পর্কিত কিছু পরিষেবা সরবরাহ করা হয়, এছাড়াও দেওয়া হয় সেনা সম্পর্কিত ট্রেনিং। সেই সংস্থাতে কর্মরত ওই ৮ ভারতীয়কে গত বছর দোহায় অবস্থিত কাতারের ইন্টালিজেন্স সার্ভিসেস তথা গোয়েন্দা বিভাগ আটক করেছে। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ওই ভারতীয় অফিসারদের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ ছিল কাতারের। আলজাজিরার রিপোর্ট বলছে, কাতারের খবর ইজরায়েলকে ওই ভারতীয় সেনা অফিসাররা পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ভারতীয় নৌসেনার ওই ৮ অফিসারের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। একরই মধ্যে তাঁদের জামিনের আবেদন বহুবার নাকচ হয়েছে। এরপরই আসে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজার কথা।