শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: মাধ্যমিকের ট্রেন্ড (Trend) বজায় রেখে এবার উচ্চমাধ্যমিকেও জলপাইগুড়ি জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। সংখ্যার ব্যবধান প্রায় সাড়ে তিন হাজার। পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কমিটির জলপাইগুড়ির যুগ্ম আহ্বায়ক অঞ্জন দাস জানান, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সমস্তরকম প্রস্তুতি শেষ। চা বাগান সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যাতে সঠিক সময়ে পরীক্ষার ভেনুতে পৌঁছাতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা থাকছে।
এবার জেলায় মোট উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থী ১৮,৫৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭,৫৫৪ ও ১১,০২১ জন। পরীক্ষা নেওয়া হবে ৭৫টি ভেনুতে (Venue)। এর মধ্যে মূল ভেনুর সংখ্যা ১৭। সাব-ভেনু থাকছে ৫৮টি। প্রতিটি ভেনুতে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জেলায় সংবেদনশীল ভেনু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১২টিকে। সেখানে থাকছে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা। সংবেদনশীল ভেনু চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে রাস্তার একদম পাশে কি না, সেখানে রাজনৈতিক কোনও গোলমাল আছে কি না, ভেনুতে বিশৃঙ্খলার অতীত রেকর্ড যাচাই করে ঠিক করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের মতোই এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯.৪৫ মিনিট থেকে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ৯.৪৫ মিনিটেই পরীক্ষার্থীরা হাতে প্রশ্নপত্র পেয়ে যাবে। লেখাও শুরু করে দেবে। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কিন্তু ১৫ মিনিট সময় ছিল প্রশ্নপত্র (Question Paper) পড়ার জন্য। এরপর ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হত। এর অর্থ উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীরা উত্তর লেখার জন্য হাতে মোট সময় পাবে সওয়া তিন ঘণ্টা।
এবছর মাধ্যমিকে বন দপ্তর জঙ্গলঘেরা এলাকা থেকে পরীক্ষার্থীদের গাড়ি করে ভেনুতে নিয়ে আসা ও পরে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। পাশাপাশি জঙ্গলপথে বনকর্মীরা বিশেষ নজরদারি চালিয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও সেটা বলবৎ থাকছে।
অঞ্জনবাবু বলেন, ‘প্রথমদিন পরীক্ষার্থীদের সিট নম্বর খোঁজার বিষয় থাকে। সেজন্য ছাত্রছাত্রীরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই যাতে ভেনুতে পৌঁছে যায়, প্রত্যেককে এমন অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’