মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সভাপতি বদল। মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জেলার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রাজ্য রাজনীতিতে এনিয়ে চর্চাও হয়েছে বিস্তর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে একাধিকবার শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিধায়কের মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছে। ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য কলকাতাতে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার পর্যন্ত করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। দিন কয়েক আগে শাওনি বহরমপুরে যে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করেছিলেন সেখানেও সাংগঠনিক জেলার বেশিরভাগ বিধায়কই অনুপস্থিত ছিলেন। ঠিক তার কয়েকদিন পরই সভাপতি পদে বদল। এদিকে, শাওনির অপসারণে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেছেন, “রাজ্য নেতৃত্ব সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নতুন সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়েছি।”
তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি করা হয়েছে কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে। অপূর্ববাবু বলেন, “দল এবং আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করব।”
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তথা মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপূর্ব সরকারকে দলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন পদে নিযুক্ত করেছিলেন। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নতুন যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে অপূর্বকে জেলা সভাপতির পদে বসানো হয়েছে এবং রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে দলের নতুন চেয়ারপার্সন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তথা নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডলকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনকে সাংগঠনিক জেলার নতুন চেয়ারপার্সন পদে মনোনীত করা হয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকেই সেখানে সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কানাইচন্দ্র মণ্ডল এবং শাওনি সিংহ রায়কে তৃণমূলের রাজ্যে সম্পাদক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।