উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই ৪ খানা বিয়ে করে ফেলেছে সে, আরও ২টো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে! তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য নাকি মেয়েদের বাবারা উন্মুখ! অনেকেই ভাবছেন পাত্র হয়তো বিশাল মাপের সরকারি চাকুরে অথবা কোনও কর্পোরেট সংস্থার পদস্ত কর্তা। তাহলে আপনি ভুল। তিনি বেকার। বিয়ে করাই তাঁর নেশা। তাঁর একের পর এক বিয়ের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন পাত্রের বাবা। ছেলের সঙ্গে যাতে কোনও পাত্রীর বাবা বিয়ে না দেন, সেকারণে সাংবাদিক সম্মেলন করলে বাবা। আবেদন করলেন, তাঁর বেকার ছেলের সঙ্গে কোনও পাত্রীর বাবা যেন বিয়ে না দেন।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রানিনগরের। বিয়ে পাগল ছেলের কীর্তিতে অতিষ্ট বৃদ্ধ বাবা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তাঁর বড় ছেলের মদ-সিগারেট-জুয়ার নেশা নেই। তার একটাই নেশা, বিয়ে করা। বড় ছেলে কোনও কাজ করে না, শুধুই বিয়ে করে। ইতিমধ্যেই চারখানা বিয়ে করে ফেলেছে সে। তাতেও আশ মিটছে না। আরও ২টো বিয়ে করবে করবে করছে। বিয়েতে বাধা দিলেই বাড়িতে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর বেকার ছেলে ৩ বৌকে ছেড়ে দিয়ে চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করছে। ক্রমবর্ধমান বৌমাদের সংসার চালানোর খরচ যোগাতে হয় তাঁকেই। ছেলের অত্যাচারে রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। বিয়ে করতে বারণ করলেই তেড়ে আসে। সকলকে কেটে ফেলার হুমকি দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একের পর এক বিয়ে করার ঘটনায় সেই যুবক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল ৫ বছর আগে। তাঁকে একবার বাড়ি থেকে বের করেও দিয়েছিলেন বৃদ্ধ বাবা। পরে বাড়ি ফিরে এসেই বিয়ে করার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। কিছুদিন আগে পাড়ার লোকজন একবার তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছিলেন। কিন্তু সবই বিফলে গেছে। বৃদ্ধের অনুমান, বড় ছেলের চারটি বৌ-এর সন্ধান পাওয়া গেলেও তাঁর আরও ‘লুকোনো’ পুত্রবধূ রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলন করে বৃদ্ধের শেষ আশা, একমাত্র লোক জানাজানি হলে তবেই হয়তো পাত্রীদের বাবার কান অবধি পৌঁছাবে তাঁর গুণধর ছেলের কথা। সব জেনেশুনেও নিশ্চয়ই এমন ছেলের হাতে মেয়েদের পাত্রস্থ করতে চাইবেন না বাবা-মা, সেই ভরসাতেই আছেন বৃদ্ধ।