উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই পাঠায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিএসএফের ডিআইজি এসএস গুলেটিয়া। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন কমিশনকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই বিতর্ক উঠতেই বিএসএফ কর্তার এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে শনিবার বিকেলে কমিশনকে লেখা চিঠিতে বাহিনী মোতায়েনে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছিল বিএসএফ’।
পঞ্চায়েত ভোটে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার দুপুরে বিএসএফের ডিআইজি এসএস গুলেটিয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে কমিশন। ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়নি। আর সেই কারণেই স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা গেল না।
কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ৬ জুলাই বৈঠকের পর গত ৬ জুলাই আপনি শুধু জেলাওয়াড়ি স্পর্শকাতর বুথের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোন ব্লক, কোন পঞ্চায়েত, বুথ নম্বর কত তার কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। তা না পেলে স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা অসম্ভব।
যদিও নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এই চিঠির আবার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, চিঠি পেয়ে আমি বিস্মিত। আপনাকে তো সবই বিস্তারিত জানানো হয়েছে। চিঠি লিখে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সব বলা হয়েছে। তার রেকর্ড রয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে এই ব্যর্থতার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী ইতিমধ্যে বিএসএফের ইন্সপেক্টের জেনারেলকে আইনি নোটিস ধরিয়েছেন। বিএসএফ কর্তা অবশ্য তার আগেই গোটা অব্যবস্থা ও অসহযোগিতার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের অর্থ পরিষ্কার। তা হল, গত প্রায় এক মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টে যত আইনি লড়াই, যত পরিশ্রম, সব পণ্ডশ্রমে পরিণত হল। কমিশনের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি যে ফের কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াবে সে ব্যাপারেও কোনও সংশয় নেই।