উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিন ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সরকারি কর্মচারীদের ওপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বহু সরকারী কর্মচারী আছেন যারা শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনের কাজ থেকে বিরত থাকতে চান। কিন্তু এবার অজুহাত দেখিয়ে সরকারি কর্মচারীরা এড়িয়ে যেতে পারবেন না ভোট সংক্রান্ত কাজ।এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যাঁরা ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চাইবেন, তাঁদের রাজ্যের তৈরি ‘মেডিকেল বোর্ডে’র সামনে দিতে হবে শারীরিক পরীক্ষা। রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।
প্রতিটি নির্বাচনের কাজেই সরকারি কর্মীদের ব্যবহার করা হয়। রাজ্য প্রশাসনের সূত্র জানা গেছে, নির্বাচনী ডিউটিতে যোগদান না করার ক্ষেত্রে অসুস্থতাকে সবচেয়ে বেশি হাতিয়ার করেন কর্মচারীরা।বিগত নির্বাচনগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ‘মেডিকেল বোর্ডে’র সামনে আবেদনকারীদের শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে আবেদনের সত্যতা যাচাই করতে গঠন কড়া হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তাই এবার আর মুখে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ডিউটি এড়াতে পারবেন না কোন কর্মচারী।
১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যেই এই তিন জেলায় জেলাশাসকদের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, জেলার একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে ভোটের সময় অসুস্থতার কারণে ছুটির আবেদনকারী সরকারি কর্মচারীদের শারীরিক পরীক্ষা দিতে হবে। আগামী ২০-২২ মার্চের মধ্যে আবেদনকারী সরকারি কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সামনে হাজির হয়ে শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে। ধাপে ধাপে সব জেলায় একই ভাবে মেডিকেল বোর্ডের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের।