শামুকতলা: চা সুন্দরী প্রকল্পের ১৪০০ উপভোক্তাকে এনওসি দিল ধওলাঝোরা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাদের আন্দোলনের জেরেই মালিকপক্ষ এনওসি দিতে বাধ্য হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে ওই চা বাগানের কর্তৃপক্ষের এনওসি না মেলায় সরকারি চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছিলেন না শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন ধরে দরবার করেও এনওসি না পাওয়ায় চা শ্রমিকদের একাংশ তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হন।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস এনওসির দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়। এদিন এই বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূলের কোহিনুর অঞ্চল সভাপতি নারায়ণ দাস, শ্রমিক নেতা কেদার নেওয়ার, কোহিনুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের চেয়ারম্যান ভেরোনিকা চিকবড়াইক প্রমুখ। তারপরেই মেলে এনওসি। নারায়ণ এদিন দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলনের জেরেই মালিকপক্ষ এনওসি দিতে বাধ্য হয়েছে।ওই ব্লকেরই কোহিনুর চা বাগানের প্রায় ১৫০০ শ্রমিককে ইতিমধ্যেই চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ এনওসি দিয়েছে। কিন্তু ধওলাঝোরা চা বাগানে কর্তৃপক্ষ সেটা দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। যদিও ওই চা বাগানের মালিকপক্ষ দাবি করেছে, কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য এনওসি দেওয়া যাচ্ছিল না। সেটা মিটে যাওয়ায় এদিন এনওসি দেওয়া হয়েছে সমস্ত উপভোক্তাকে।
চা শ্রমিক নেতা কেদার নেওয়ার বলেন, ‘চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন তার জন্য আমরা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হই। তাতে ফলও পেয়েছি।’ শ্রমিকদের দাবি, মালিকপক্ষের সংগঠনই নাকি এতদিন পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছিল। তাদের অনুমোদন না মেলায় ধওলাঝোরা চা বাগান কর্তৃপক্ষ এতদিন এনওসি দিচ্ছিল না। যদিও এমন অভিযোগ মানতে চায়নি বাগান কর্তৃপক্ষ।