উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা না থামালে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় হয়ে রয়েছে। ইন্দো-পাক সীমান্ত অনন্তনাগে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এমনই বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। গত ১০ বছর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ রয়েছে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ। চলতি এশিয়া কাপের পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ করার দাবি করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু অনন্তনাগের ঘটনার পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দাবিকে নস্যাৎ করে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী।
গত বুধবার থেকে অনন্তনাগে শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। সেনা এবং জঙ্গিদের এই সংঘর্ষে দুই সেনাকর্তা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপির মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনক এবং হুমায়ুন ভাটের। সেই সংঘর্ষ এখনও থামেনি। জঙ্গিদের বাগে আনতে লড়াই চালাচ্ছে সেনা। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ না খেলার হুংকার দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
২০১২/১৩ সাল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ভারত। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও কূটনৈতিক কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে দ্বিদলীয় ক্রিকেট সিরিজ। এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারতের সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ফের নতুন করে ইন্দো-পাক সীমান্ত অনন্তনাগে জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটায় দু’দেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “বিসিসিআই অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, যতদিন পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ না করবে, ততদিন আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলব না। আমি মনে করি এই একই অনুভূতি দেশবাসীরও।”
সম্প্রতি, এশিয়া কাপের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়ে দু’দিনের লাহোর সফরে গিয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি এবং সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। এই সফর শেষে রাজীব শুক্লা, “এটি একটি দুই দিনের সফর এবং একটি ভাল সফর ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক সফর ছিল না, সম্পূর্ণই ক্রিকেট নিয়েই সফর। সেদেশের গভর্নর আমাদের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আতিথেয়তা যথেষ্টই ভাল ছিল। পিসিবির দাবি ছিল, দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট আবার শুরু করা উচিত। আমরা বলেছি, এটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এবং আমাদের সরকার যা বলবে আমরা তাই করব।”
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে অংশ নিতে অক্টোবরের মাঝামাঝি ভারতে আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আগামী ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের।