গঙ্গারামপুর: শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়ায় দ্বিতল বিশিষ্ট মাতৃসদনের উদ্বোধন হয়েছিল ঘটা করে। উদ্দেশ্য ছিল উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা। আধুনিকমানের পরিষেবা তো পরের কথা। সকালে খোলে, সন্ধ্যা হলেই ঝাঁপ বন্ধ হয় ভবনের। নিয়ম অনুসারে প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থাকার কথা। মাতৃসদনে তা নেই। হাতেগোনা সামান্য কয়েকটি পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। হাঁচি-কাশি হলে লোকে ছোটে বেসরকারি হাসপাতালে। হয় না এক্সরে, ইসিজি। শহরবাসীর দাবি, মাতৃসদনে অবিলম্বে চালু করতে হবে জরুরি বিভাগ। হাসপাতালের পরিষেবা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন। ইসিজি, এক্স-রের জন্য গড়ে তুলতে হবে পরিকাঠামো।
শহরের বাসিন্দা তথা কাদিহাট বেলবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ সরকার বলেন, ‘শহরের সাহাপাড়ার মাতৃসদন গঙ্গারামপুর পুরসভার কাছে অন্যতম মুকুট। যাঁরা বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা, ডাক্তার দেখাতে পারে না। তাঁদের কথা ভেবেই এই মাতৃসদন তৈরির ভাবনা বলে আমার ধারণা। তাই, মাতৃসদনে আরও বেশি ডাক্তার, নার্স এবং শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দরকার। পরিষেবা হোক নিয়মিত। পুর এলাকার জনগণ উপকৃত হবে। শহরের একজন নাগরিক হিসেবে পুরপ্রধানের কাছে আবেদন, আরও ডাক্তার, নার্স নিয়োগ করে মাতৃসদনকে পূর্ণাঙ্গ একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তুলুক।’
এবিষয়ে গঙ্গারামপুরের পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র বলেন, ‘স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মাতৃসদনের চিকিৎসা পরিষেবাকে উন্নত করার চেষ্টা চলছে। সব ধরনের পরীক্ষা যাতে করা যায়, তার জন্য মেশিন বসাতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’