উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নাম না করেই মমতা বললেন, ‘দোষ প্রমাণের আগেই গ্রেপ্তার। কিছুই প্রমাণ হল না অথচ চোর বানিয়ে দিলেন।’ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতপ্রিয় মল্লিক। এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছে রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মাণিক ভট্টাচার্য। পার্থদের পাশে দল সেভাবে না দাঁড়ালেও তৃণমূল যে পুরোপুরি জ্যোতিপ্রিয়র পাশে থাকবে, সেটা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সব মিনিস্টারকে অ্যারেস্ট করে দিচ্ছে কিছু না কিছু করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কাজই করতে দেবে না। এক তরফা একটা পার্টিকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন।”
মমতা এদিন অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সি সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও মানছে না। দোষ প্রমাণের আগেই অ্যারেস্ট করে নিচ্ছে। একটা লোককে কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই চোর বলে দেগে দিচ্ছে। একবারও ভেবে দেখেছ, তাঁর ফ্যামিলির উপর দিয়ে কী যাচ্ছে। তাঁর সতীর্থদের কী হচ্ছে। আজ তুমি ক্ষমতায় আছ। দম্ভে অনেক কাজ করবে। একদিন তুমি ক্ষমতায় থাকবে না। সব ধরা পড়বে। সব বেরিয়ে পড়বে। কেঁচো খুঁড়লে কিন্তু সাবধান।”
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হলেও এই দুর্নীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উলটো কাঠগড়ায় তুলেছেন বাম আমলকেই। এদিন মমতা বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম তখনও বাম আমলে এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। সেই কার্ডে রেশন তুলে খোলাবাজারে বিক্রি হত। সেই টাকা কোথায় গেল? কোনও তদন্ত হয়েছে?” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বামফ্রন্টের লোকেরা তো সব জায়গায় আছে। আমি তো কারও চাকরি খাইনি। কী করে চাকরি পেয়েছে কেউ জানে না। একজনের নামে আরেকজনও চাকরি করছে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। কত চিটফান্ড তৈরি হয়েছে বাম আমলে। একটারও বিচার হয়েছে? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।”
