উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর’। বেহালায় দলীয় সভা থেকে এভাবেই র্যাগিংয়ের ঘটনাকে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার দায় সরাসরি ‘মার্কসবাদী’ দের কাঁধে চাপালেন তিনি।
সোমবার বেহালায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক দলীয় সভা থেকে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তুলোধনা করেন বাম-কংগ্রেস-বিজেপি সহ সব দলকেই। তিনি বলেন, ‘যারা ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তারা সব মার্ক্সবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস। ওখানে কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে। তারা ছেলেটার জামাকাপড় পর্যন্ত খুলে নিয়েছিল। যাদবপুরের ওই ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা বলেছিল সেটা খুলতে হবে। যেন জমিজারি। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ট! ’
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘যাদবপুর যেন আতঙ্কপুর। ওখানে পুলিশ ঢুকতে দেয় না। সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। র্যাগিং করে। অনেক জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে আমি যেতে চাই না।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘যারা ছেলেটাকে মেরেছে তাদের গুরুদেরই মমতা জঙ্গলমহলে পাঠিয়েছিলেন সিপিএমকে খুন করার জন্য। ওই মার্কসবাদীদের উনি নিজের দলেও ঢুকিয়েছিলেন, মন্ত্রীও বানিয়েছিলেন। আর এখন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ কেন খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছে না?’ বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন সেভাবে কোনওদিনই গড়ে ওঠেনি। আর যাদবপুরে বরাবর বামেদের প্রাধান্য বেশি। সুতরাং এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে তার বক্তব্যের মাধ্যমে ঘুরিয়ে সিপিএমকেই দায়ী করতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট।