বৈষ্ণবনগর: রাস্তার ধারে বাঁশের মাচা বাঁধাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বৈষ্ণবনগরের নন্দলালপুর গ্রাম। অভিযোগ, সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন কংগ্রেস কর্মী। আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম মানিক মিয়াঁ(৫০), কায়েফ মিয়াঁ(২০), নাসির মিয়াঁ(৪৫)। মানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নন্দলালপুর গ্রামে। খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৈষ্ণবনগর থানার আইসি নিম শেরিং ভুটিয়া জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত আহাদ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মানিক মিয়াঁ সহ কংগ্রেসের কিছু লোকজন রাস্তার ধারে বসার জন্য একটি মাচা তৈরির করেন। সেই মাচাতেই কংগ্রেস কর্মীরা বসতেন। কিন্তু যে জায়গায় মাচাটি তৈরি করা হয়েছে সেটির মালিক তৃণমূল সমর্থক আব্দুল জব্বার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দলালপুর বাজার এলাকায় মানিক সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে মাচাটি খুলে নেওয়ার জন্য বলেন আব্দুল। তখনই দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তা থেকে ধস্তাধস্তি ও পরে লাঠি, হাঁসুয়া নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। মানিকের ঘাড় বরাবর হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। কায়েফ ও নাসির মিয়াঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
কয়েফের বাবা আতাউর হোসেন জানান, বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা আকমাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিনজন কর্মীকে কোপানো হয়েছে। মানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতা পাঠানো হয়েছে। দুজন মেডিকেলে ভর্তি। আমরা এলাকায় শান্তি চাই। যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত, তাঁদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, তৃণমূলের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুস্তাক হোসেন জানিয়েছেন, এখানে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই। দুপক্ষের মধ্যে একটা বাঁশের মাচা বাঁধাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধে। যে জায়গায় মাচাটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটি অন্যজনের। জায়গার মালিক মাচাটি খুলে নিতে বলেন। এনিয়েই দু পক্ষের মধ্যে ঝামেলা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।