কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ভাঙড় সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছে। মনোনয়ন জমায় আইএসএফ কর্মীদের বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ভাঙড়। উঠেছে বোমাবাজি, গুলি চালানোর অভিযোগও। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও অশান্তির খবর মিলেছে। যদিও ভাঙড়ের ঘটনায় নাম না করে আইএসএফকেই তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নেই বলে দাবি তাঁর।
এদিন ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক আইএসএফ কর্মীর। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের দিকেই আঙুল তুলেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভাঙড়ের অশান্তি নিয়ে নাম না করে আইএসএফকেই দুষলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভাঙড়ে যারা বিরোধী, নতুন জিতেছে, তারাই ভাঙচুর করেছে প্রথম। আজকের ঘটনা প্রসঙ্গে পুরোটা জানি না। কিন্তু যতটা শুনেছি তার ওপর ভিত্তি করে প্রশাসনকে শক্তহাতে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’ সংখ্যালঘুদের একাংশকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘রাজ্যে প্রায় ৭৩ হাজার ৭৪ হাজার বুথ। সেখানে মাত্র তিনটি অঞ্চলে তিনটি গণ্ডগোল হয়েছে এবং তাও স্থানীয়ভাবে। আমাদের দল এতে কোনওভাবেই যুুক্ত নয়।‘ হিংসা-অশান্তি নিয়ে তাঁর সাফাই, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক সময় একই পরিবারের অনেকে দাঁড়ান। ফলে তাঁদের পারিবারিক সমস্যা দেখা যায়। ইসলামপুর এবং চোপড়ায় যে সমস্যা হয়েছে, তার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুুক্ত নয়। যারা করেছে তাদের দল টিকিট দেয়নি।