কলকাতা: গোরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, সায়গল হোসেন সহ এই মামলায় তিহাড়ে থাকা বাকি বন্দিদের। এমন নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এদিন শুনানির আগে অনুব্রত তাঁর আইনজীবীদের জানান, তাঁর ডান পায়ে ব্যাথা, পা ক্রমশ সরু হয়ে যাচ্ছে। এদিনও হুইলচেয়ারে আদালতে আসেন তৃণমূল নেতা।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি জামিন পেতেই প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কেষ্টও শীঘ্রই জামিন পাবেন? এরই মধ্যে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে এলে যা ইচ্ছে তাই করবেন, ক্ষতি হবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।’ এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেও জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল নেতা। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার জামিনও খারিজ হয়ে যায়।