শুভ্রজিৎ বিশ্বাস, মেখলিগঞ্জ: গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন দলেরই নেতা! শনিবার এমনই অভিযোগ উঠল মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোগরা ফুলকাডাবড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০ মেখলিগঞ্জ এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভোটের মুখে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৩ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ আজগার আলি। শনিবার ওই এলাকায় প্রচারে যান মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ২০ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী শেফালী রায়ের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায়।
অভিযোগ, সেখানে আজগারের নেতৃত্বে তাঁকে আটকে বিক্ষোভ দেখান দলেরই অন্য কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সুশান্তকে উদ্ধার করে কুচলিবাড়ি থানায় নিয়ে যায়।
১০৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আজগার আলির বক্তব্য, “পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শেফালী রায়ের স্বামী সুশান্ত রায় তিন চার দিন ধরে আমার এলাকায় প্রচার করছেন। অথচ আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। শনিবারও তিনি এলাকায় এসে তাঁর স্ত্রীর সমর্থনে প্রচার ও নমুনা ব্যালট বিলি করেছেন।
আজগারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকাবাসীকে নির্দলকে ভোট দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন সুশান্ত। উনি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল দাঁড় করিয়েছেন। আমি ওঁকে আমার সঙ্গে প্রচারে যেতে বলি। কিন্তু উনি আমাকে জানান, তারপক্ষে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করা সম্ভব নয়। তাই তৃণমূল কর্মীরা সুশান্তকে আটক করেছেন। আমি চাই দল ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুশান্ত রায়ের বক্তব্য, “আমার স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। তাই আমি মানুষের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। আজগার আমাকে ভুল বুঝছেন।” তাঁর সাফাই, “আমার কাছে গ্রাম পঞ্চায়েতের নমুনা ব্যালট ছিল না। তাই বিলি করতে পারিনি। আজগারের বাড়িই যাচ্ছিলাম। কিন্তু যেতে দেরী হয়েছে। আমি চিনি না কে নির্দল করে। উনি যে অভিযোগ করছেন তা ভুল।”
এবিষয়ে দলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি কেশব বর্মন বলেছেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। সত্যি এরকম ঘটে থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে।”